আমির খানের মোস্ট ওয়েটেট সিনেমা সম্প্রতি হলে মুক্তি পেয়েছে। বলিউড প্রেমীরা অধির আগ্রহে এই সিনেমার জন্য অপেক্ষা করে ছিল।
Laal Singh Chaddha-র গল্পে আবারও Forest Gump-এর ঝলক দেখা যাচ্ছে। জীবন, ভালোবাসা, নৈতিক কর্তব্য এবং ভাগ্য নিয়ে তাঁর কী দৃষ্টিভঙ্গি সেটাই দেখানো হয়েছে আমির খানের এই ছবিতে। অস্কারজয়ী ছবিটি অনেক মৃদু। না বলেই অনেক কথা বলে দেওয়া হয়েছিল ওই ছবিতে। তবে বলিউডি ছবিটি অনেক বেশি রঙিন। এই সিনেমায় প্রচুর এনার্জি রয়েছে। নীরব অশ্রুর পরিবর্তে মনের কথা বলার উপর জোর দিয়েছে এই ছবি। বলাবাহুল্য, PK-র বডি ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে পঞ্জাবি অ্যাকসেন্টে অনেক কিছুই বলেছেন আমির খান। তবে শুধুমাত্র এক সাধারণ ব্যক্তির গল্প নয় 'লাল সিং চড্ডা'। বরং তাঁর ছেলেবেলা, মা (Mona Singh), চাইল্ডহুড সুইটহার্ট রূপা (Kareena Kapoor Khan), আচমকা ধনী হওয়া, ভালো কিছু বন্ধু মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়ানো এবং যন্ত্রণা নিয়েও দৌড়ানোর গল্প বলেছেন আমির খান। পাঠানকোট থেকে চণ্ডীগড় যাওয়ার ট্রেনে বসে জীবনের একের পর অধ্যায় স্মরণ করতে দেখা যায় আমিরকে। এই রিমেকের কোনও প্রয়োজনীয়তা ছিল কিনা, সেটা বিচার্য নয়। বরং এই পদক্ষেপই বেশ সাহসী। কারণ, আন্তর্জাতিক সিনেমার প্রেক্ষাপটে Forest Gump ছবিটি কালজয়ী।
অতুল কুলকার্নি খুব সুন্দর কায়দায় ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন। ফ্যাক্ট এবং ফিকশনের মিশেল ঘটিয়েছেন তিনি। ভারতের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সংস্কৃতির সঙ্গে স্ক্রিপ্টকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তুলেছেন তিনি। কিছু চাঁচাছোলা কায়দায় ওই চিত্রনাট্য লিখেছেন অতুল। ছবির একটি ডায়ালগ, "মজহব ম্যালেরিয়া প্যায়দা কর সকতা হ্যায়!" যার আক্ষরিক অর্থ, "ধর্মের গোঁড়ামি মানুষকে পরস্পরের থেকে দূরে সরিয়ে দিতে পারে।" ফরেস্ট গাম্পের চকলেটের পরিবর্তে গোল গাপ্পা ব্যবহার করেছেন অতুল। রাম রথ যাত্রা, অপারেশন ব্লু স্টার, ১৯৭৫ এর এমার্জেন্সি, কার্গিল যুদ্ধ, বম্বে ব্লাস্ট এবং তার পরবর্তী অবস্থার ঝলক দেখা গিয়েছে এই ছবিতে। সবটা খুব সুন্দরভাবে এক সারিতে নিয়ে এসেছেন অতুল।
এবার আসা যাক ম্যান অফ দ্য মোমেন্ট আমির খানের কথায়। বয়কট ব্রিগেডের চাপের মাঝেও মানবিকতার গল্প বলেছেন আমির। ধর্মীয় গোঁড়ামির পরিবর্তে মানবিকতার কাহিনি বলছেন তিনি। ৩০ বছর বয়সে টম হ্যাঙ্কস যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন, ৫০ বছর বয়সে সেই চরিত্রে অভিনয় করাটা যথেষ্ট সাহসী পদক্ষেপ। যথাসম্ভব চেষ্টা করেছেন এই চরিত্রকে আরও জীবন্ত করে তোলার। যদিও কিছু জায়গায় একটু বেশিই চেষ্টা করেছেন তিনি। বারবার হুঁ' বলার প্রবণতা দেখা গিয়েছে আমিরের মধ্যে। যা খানিকটা বিরক্তিকর। অন্যদিকে, করিনা কপুর খান কিন্তু রূপার চরিত্রে ভীষণ সাবলীল। মোনা সিংও বেশ ভালো অভিনয় করেছেন।
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url